Welcome
Advertising is the way great brands get to be great brands.
We Are Awesome Folow Us
Home  /  BLOG   /  চুলের ধরন অনুয়ায়ী নির্বাচন করুন শ্যাম্পু

চুলের ধরন অনুয়ায়ী নির্বাচন করুন শ্যাম্পু

চুল আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চুল সুন্দর তো আপনি সুন্দর। এই কথাটি ছেলেমেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সুন্দর চুলের মানুষের দিকে অন্যরা দ্বিতীয়বার ঘুরে তাকায়। কিন্তু সমস্যা হলো- চুলের নানা সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করে চুলকে সুন্দর করে তোলা। আবহাওয়ার কারণেই হোক কিংবা যত্মেম্নর অভাবেই হোক, চুলের নানা সমস্যায় আমরা অনেকেই ভুগে থাকি।

কোঁকড়ানো চুল

কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে সপ্তাহে দুবার অলিভ অয়েল বা কাস্টার অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। শ্যাম্পু করবার সময় ময়েশ্চারাইজ়িং শ্যাম্পু বেছে নিন। এতে চুলের ময়েশ্চারাইজা়র বজায় থাকবে। এছাড়া এই ধরনের চুলের ক্ষেত্রে অয়েল চুলের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছায় না। তাই ধরনের চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনার প্রয়োজন। যা চুলের ময়েশ্চারাইজার বজায় রাখে। এক্ষেত্রে জোজোবা অয়েল, অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

খুশকি-যুক্ত চুল

খুশকি যুক্ত চুলে নানা সমস্যা দেখা যায়। সপ্তাহে দুই দিন চুলে অলিভ অয়েল গরম করে ম্যাসাজ করুন। সারা রাত রেখে পরের দিন চুল ধোয়ার আধঘন্টা আগে চুলে লেবুর রস লাগিয়ে নিন। এরপর মাইল্ড হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। এতে খুশকির সমস্যা কমে যাবে।

কালার চুলের শ্যাম্পু

কালার চুল কড়া রোদে সহজেই খারাপ হয়ে যায়। কালার চুলের ক্ষেত্রে আল্ট্রা-ভায়োলেট ফিল্টার সমৃদ্ধ শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। হালকা হাতে তোয়ালে দিয়ে চুল মুছে নিন। হারবাল কন্ডিশনার এই ধরনের চুলের জন্য ভালো। মাসে অন্তত একবার কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট করান।

তৈলাক্ত চুল

তৈলাক্ত চুলে স্বচ্ছ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। কারণ এই ধরনের শ্যাম্পু ব্যবরার করলে আপনার চুল নেতিয়ে পড়বে না। ঘন ক্রিমের মতো সাদা রঙের শ্যাম্পু মোটেও ব্যবহার করবেন না। এছাড়াও শ্যাম্পু করার সময় তার সঙ্গে সামান্য বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিন। এই ধরনের চুলে জন্য ফ্যাটি অ্যাসিড কম এমন কন্ডিশানার ব্যবহার করা উচিত। বেকিং সোডা চুলের গোড়ার অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে।

শুষ্ক ও ফ্রিজি চুল

অতিরিক্ত শুষ্ক ও ফ্রিজি চুলের ক্ষেত্রে নিয়মিত হট অয়েল ম্যাসাজ করতে হবে। শুষ্ক চুলে ময়েশ্চারাইজার ছাড়া ক্লিয়ার শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। ওমেগা থ্রি আছে এমন ময়েশ্চারাইজার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এছাড়াও এক লিটার জলে দুই চামচ মধু মিশিয়ে শ্যাম্পুর পরে ব্যবহার করুন। এরপর ময়েশ্চারাইজা়র ও প্রোটিন সমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এছাড়া ভিটামিন-E অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ কন্ডিশনার শুষ্ক চুলের জন্য ভালো।
প্রয়োজনে মাঝে মাঝে হেয়ার স্পা করতে পারেন

 নির্জীব চুল

নির্জীব চুলের ক্ষেত্রে মাসে দুই বার হেনা প্যাক ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু নির্জীব চুলের খুব একটা বৃদ্ধি হয় না তাই চুল বৃদ্ধির জন্য নারকেল তেলের পরিবর্তে আমন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। তবে শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে ভিটামিন ‘A’ এবং ‘E’ সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।  শ্যাম্পু পর এক লিটার জলে একটি গোটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চুল চকচক করবে।

স্কাল্পে ঘামের সমস্যা

গরমে তাপমাত্রা বাড়লে শরীর নিজেকে ঠান্ডা রাখার জন্য ঘাম নিঃসরণ করে। স্কাল্প ঘামতে শুরু করে। রাতে চুল শুকিয়ে তারপর বড় দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে ভালো করে চুল আঁচড়ে নিন। সপ্তাহে দু’দিন অন্তর হার্বাল শ্যাম্পু করুন। চুল শুকিয়ে রোদে বের হন।

পাতলা চুল

পাতলা চুল সহজে নেতিয়ে যায়। তাই এই ধরনের চুলের ক্ষেত্রে লেবু, ফলের রসসমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এই ধরনের শ্যাম্পুগুলি চুলের ভলিউম বাড়ায়। লিভ অন কন্ডিশনার আদর্শ।

 

 

No Comments

LEAVE A COMMENT

Home
Account
0
Search