চুল নিয়ে আমাদের একাধিক সমস্যা দেখা যায়। কখনও আমাদের চুল খুব পড়ে, আবার কখনও চুলের ডগা ফেটে যায় । তাই চুল ঠিক রাখার জন্য আমরা নানা পরিচর্চা করি। কিন্তু সব সমস্যার সমাধান বাইরে থেকে হয় না। তাই সমস্যার সমাধানের জন্য শরীরের ভিতর থেকে পরিচর্চা করা খুব জরুরি।এই খাবারগুলি খেলে আপনার চুলের সমস্যার সমাধান হবে।
গাজরঃ গাজরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, কে, সি, বি৬, বি১, বি২, আঁশ, পটাশিয়াম, ফসফরাস রয়েছে। যা স্বাস্থ্য, চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে ও বয়স ধরে রাখতেও কার্যকরী গাজর। চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে গাজর। গাজর লাগালে চুলে সিল্কি, চকচকে ভাব আসে। রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় গাজর। চুলের গোড়া শক্ত করে গাজর। চুল ভেঙে যাওয়া ও পড়ে যাওয়া রুখতে সাহায্য করে গাজর। দূষণ, রুক্ষ আবহাওয়া থেকও চুলকে রক্ষা করে গাজর।
সবুজ সবজিঃ আপনি কি জানেন তাজা সবজি এবং ফল থেকে পাওয়া রস আপনার চুল স্বাস্থ্যের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে? হ্যাঁ, আপনার দৈনন্দিন খাদ্যের মধ্যে এই যে রস রয়েছে তা আসলে আপনার চুলের যত্নের চাহিদা মেটাতে পারে। তাজা ফল ও সবুজ শাক সবজি আমাদের শরীরের পুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। টাটকা ফল ও সব্জির রস চুল ভাঙ্গনের সম্ভাবনা হ্রাস করা এবং একই ভাবে চুল বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। রস থেকে পুষ্টি দ্রুত আমাদের শরীরের মধ্যে শোষিত হয় এবং এর ফলাফল দ্রুত লাভ করতে পারি। চুল ভালো রাখতে গেলে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা সবজি খান। সবজি খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়বে। আয়রনের প্রভাবে আপনার চুল পড়া কমবে, চুল সুন্দর হবে।
লেবুঃ লেবুতে ভিটামিন C আছে। যা আমাদের চুলের জন্য খুব উপকারি। লেবুর অ্যাসিডিক ধরন চুলের যত্নে অতুলনীয়। এটি চুল পড়া বন্ধ করে ও খুশকি দূর করে। চুলের বৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি চুল ঝলমলে করতেও জুড়ি নেই লেবুর।
দারুচিনিঃ দারুচিনি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এটি চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও কার্যকর। চুল পড়া রোধ করতে, নতুন চুল গজাতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি বেশ উপকারী। দারুচিনি খাওয়ার ফলে আমাদের চুলের গোড়া শক্ত হয়। যার ফলে চুল পড়া কমে। এটি আমাদের চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।
অ্যাভোকাডোরসঃ অ্যাভোকাডোরস আমাদের শরীরে ভিটামিন E-এর মাত্রা বাড়ায়। এটি আমাদের চুলকে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করে। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে অ্যাভোকাডোরস।