আমাদের স্কিনের পোরস গুলোতে প্রতিনিয়তই ময়লা জমে। এই ময়লা ঠিক মতো পরিষ্কার করা না হলে এর উপর আরও বেশি তেল ময়লা জমতে থাকে। এক সময় তা বাতাসের সংস্পর্শে এসে অক্সিডাইযড হয়ে ব্ল্যাকহেডস এর রূপ নেয়। শুরু থেকে সচেতন না হলে এটি এক রকম স্থায়ীই হয়ে বসে যায়, অপরিচ্ছন্ন করে তোলে আপনার স্কিন। সাধারণত আমাদের টি জোনে (কপাল ও নাকে) তেল্গ্রন্থি গুলো মুখের অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি সক্রিয় থাকে। তেল নিঃসরণ বেশি হওয়ায় ধুলোবালি জমে ব্ল্যাকহেডস হয়ে যায়। স্কিন তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারায়, হয়ে পড়ে অমসৃণ। এমনকিঐ স্থানে মেকআপ করলেও তা ঠিকমতো বসতে চায় না। ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা প্রায় অনেকেরই। তাতে মুখের উজ্জ্বলতা অনেক ক্ষেত্রে কম লাগে। এমন কিছু মানুষ থাকেন যাঁদের ত্বক পরিষ্কার, নরম ও দাগহীন। এককথায় বলা যেতে পারে মাখনের মতো। তাই ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর করার জন্য রইল বিশেষ পরামর্শ। জেনে নেওয়া যাক ব্ল্যাকহেডসের থেকে রেহাই পাওয়ার ৪টি উপায়-
১। স্যালিসিলিক অ্যাসিডঃ এমন ফেস ওয়াশ কিনতে পারেন যা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযুক্ত এবং যাতে দাগছোপ ওঠানোর জন্য স্যালিসিলিক অ্যাসিড থাকে। এক্ষেত্রে পুরুষদের ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই যেকোনও ফেসওয়াশ নয়।
এক্সফোলিয়েট যদি আপনি ভেবে থাকেন আপনার তৈলাক্ত ত্বক এবং ধুলোবালিই ব্ল্যাকহেডসের কারণ তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার ত্বকের মৃত কোশই ব্ল্যাকহেডসের জন্য দায়ি। ত্বকের সেইসব মৃত কোশ পরিষ্কার করে আপনি পেতে পারেন ব্ল্যাকহেডসমুক্ত সুন্দর ত্বক।
২। এক্সফোলিয়েট যদি আপনি ভেবে থাকেন আপনার তৈলাক্ত ত্বক এবং ধুলোবালিই ব্ল্যাকহেডসের কারণ তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার ত্বকের মৃত কোশই ব্ল্যাকহেডসের জন্য দায়ি। ত্বকের সেইসব মৃত কোশ পরিষ্কার করে আপনি পেতে পারেন ব্ল্যাকহেডসমুক্ত সুন্দর ত্বক।
৩। ফেসিয়ালঃ ফেসিয়ালের আইডিয়াও কিন্তু খারাপ না। পার্লারে গিয়ে একবার ফেসিয়াল করিয়েই আসতে পারেন। তাতে আপনার ত্বক বেশ সতেজও অনুভব করবে। ফেসিয়াল কিন্তু আবার ব্ল্যাকহেডস দূর করতেও সাহায্য করে। আর যদি পার্লার যেতে না ইচ্ছা করে তাহলে তো ফেসপ্যাক আছেই। বাড়িতে বসেই দূর করুন ব্ল্যাকহেডস।
৪। আর্দ্রতাঃ ত্বককে আর্দ্র রাখা খুবই জরুরি। আর্দ্রতা ত্বককে সুস্থতা জোগায়। ত্বকের গভীরে পৌঁছে ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্রতা জোগাতে প্রতিদিন ব্যবহার করুন ময়েশ্চারাইজ়িং ক্রিম, বডি লোশন বা ফেস মাস্ক। তাহলে আপনার ত্বকও থাকবে সতেজ ও সুস্থ। আর একইসঙ্গে ব্ল্যাকহেডস থেকেও রেহাই।
এ ছাড়া বালিশের কভার প্রতি সপ্তাহে পালটে ফেলুন। আপনার ব্যবহারের চিরুনি, তোয়ালে সবসময় পরিষ্কার রাখুন। ব্ল্যাকহেডস, পিম্পল, খুশকি এসব কিছুর প্রকোপ থেকে কিছুটা মুক্তি পাবেন। আপনার স্কিনের ধরন অনুযায়ী উপরের যেকোনো পদ্ধতি বেছে নিন। নিয়মিত করলে ব্লাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। শুভকামনা রইল সবার জন্য।