একদিন মাথায় ঘন চুল ছিল। কিন্তু, যত দিন যাচ্ছে তত মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য। এখন যেন কেমন নিষ্প্রাণ দেখায়। দেখলে মনে হয়, বয়সটা সত্যিই বাড়ছে। কিন্তু, সবে আপনি তিরিশ পেরিয়েছেন। এখনই এভাবে বুড়িয়ে গেলে কী করে চলবে? যদি কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন, আপনিও ধরে রাখতে পারবেন যৌবন। কী কী করতে হবে তার জন্য ? আজ থাকল তেমনই কিছু টিপস-
চশমার পরিবর্তে লেন্স ব্যবহার করুন। কারণ, চশমা পড়লে নাকের পাশে অদ্ভুত কালো দাগ হয়ে যায়। এছাড়াও, চশমা ব্যবহারের ফলে একটু বেশি বয়স্ক দেখায়। লেন্স ব্যবহার করলে কম বয়সি লাগবে। তারুণ্য ধরে রাখার জন্য সিগারেটকে চিরদিনের জন্য বলতে হবে বাই বাই। কারণ, সিগারেট খাওয়ার ফলে মুখে ফোলাভাব আসে, চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কেল পড়ে, ঠোঁট কালো হয়ে যায়, তাছাড়াও একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। সিগারেট খাওয়া বন্ধ করতে পারলে ত্বকও থাকলে প্রাণবন্ত। ত্বকের যত্ন নিন। ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হলে বয়স অনেক বেশি মনে হয়। তাই, ত্বককে হাইড্রেট ও ময়েশ্চারাইজ় করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করুন। আর প্রচুর জল খান। কুঁজো হয়ে না পিঠ সোজা করে দাঁড়ান। অর্থাৎ, আপনার অঙ্গবিন্যাস সঠিক রাখুন। বাঁকা করে দাঁড়ালে আপনাকে বয়স্ক মনে হবে। সোজা হয়ে দাঁড়ানো অভ্যাস করুন। বয়স একটু বাড়লেই আমরা নিজেদের আরও বেশি বয়স্ক ভাবতে শুরু করি। তাই, চুলের সেই একঘেয়ে স্টাইলই রেখে দিই। কিন্তু, চুলের কায়দা পরিবর্তন করলে, দেখতেও অন্যরকম লাগবে। আর বয়সটাও অনেকটা কম লাগবে। যদি মাথায় টাক পড়ে যায়, তবে সব চুল কেটে ফেলুন। এতে টাকের তুলনায় বেশ স্টাইলিশ ও কম বয়েসি দেখতে লাগবে। সঠিক পোশাক নির্বাচনের উপর ব্যক্তিত্ব ও বয়স নির্ভর করে। কোন ধরনের পোশাক আপনাকে মানাবে সে বিষয়ে নজর রাখুন। সেই সঙ্গে পোশাকের রঙের দিকেও খেয়াল রাখুন। সঠিক পোশাক নির্বাচন করলে বয়স অনেকটা কমে যাবে। মানসিক চাপের কারণে ত্বকে বিশেষ করে মুখের ত্বকে রিংকেল পড়তে দেখা যায়। এছাড়াও চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ ধরা হয় মানসিক চাপকে। মানসিক চাপ শুধুমাত্র ত্বকেই বয়সের ছাপ ফেলে না এটি আপনার দেহকেও বুড়িয়ে ফেলে। মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করার বেশ বড় একটি কারণ। এছাড়া অনেকেই মানসিক চাপে পড়লে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। তাই মানসিক চাপ থেকে যতোটা সম্ভব দূরে থাকুন।সানগ্লাস পরলে স্টাইলিশ লাগে। তাই, মুখ অনুযায়ী সানগ্লাস পড়ুন। এটি আপনাকে স্টাইলিশ দেখানোর পাশাপাশি আপনার চোখকে রোদের হাত থেকে রক্ষা করবে। আর চোখের চারপাশের কালো দাগ ঢাকতেও সাহায্য করবে। চলাফেরা, হাঁটাহাঁটি, শারীরিক ব্যায়াম যেভাবেই হোক না কেন পরিশ্রম করুন নিজের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য। শারীরিক পরিশ্রম পুরো দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, পুরো দেহে সঠিক উপায়ে অক্সিজেনের সরবরাহ করে। এতে আমাদের দেহের প্রায় প্রতিটি কোষ সজীব হয় এবং আমাদের দেহ অনেক সুঠাম হয়। দেহে বার্ধক্য জনিত সমস্যা অনেক কম দেখা দেয়। ঠোঁটের খেয়াল রাখুন। ঠোঁট শুকনো দেখালে বা ফেটে গেলে বিশ্রী দেখায়। পাশাপাশি বয়স্কও লাগে। তাই, নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নিন। ঠোঁটকে ভালো করে ময়েশ্চারাইজ় করুন। বয়স বাড়লে ত্বকও কেমন শুষ্ক হয়ে যেতে থাকে। তাই, ত্বকের পরিচর্যা করার জন্য একটা রুটিন বানিয়ে ফেলুন। পারলে প্রতিদিন নিয়ম মেনে ক্লিনজ়িং, টোনিং ময়েশ্চারাইজিং আর স্ক্রাবিং করুন। ডারমাটোলজিস্ট আভা সাম্ভান বলেন, ‘প্রসেসড চিনি, যা আমরা হরহামেশা খাই তা আমাদের ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। কারণ, প্রসেসড চিনি আমাদের ত্বকের কোলাজেন টিস্যু দুর্বল করে এবং ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে দেয়’। সুতরাং চিনিকে একেবারেই না বলুন।