অফিস থেকে ফিরেই বিয়েবাড়ি বা পার্টি। হাতে সময় বেশি নেই। ওদিকে সারাদিনের দৌঁড়ঝাপের ক্লান্তি চোখে-মুখে-ত্বকে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। ত্বকে সতেজভাব না থাকলে ফ্যাশনেবল পোশাক পরেও কোনও লাভ নেই। কী করবেন? জেনে নিন, পাঁচ মিনিটে কীভাবে এই ক্লান্তি দূর হবে-
গোলাপ জল: গোলাপ জল ত্বককে আর্দ্র করে স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য নিয়ে আসে। ত্বকের ক্লান্তি দূর করতে তাই কিছুটা পরিষ্কার তুলো গোলাপ জলে ভিজিয়ে মুখে আলতো করে লাগান। দেখবেন ত্বক সঙ্গে সঙ্গে তরতাজা হয়ে উঠবে। তাছাড়া, গোলাপ জলের মিষ্টি গন্ধ আপনার মন ভালো করে দেবে। মানসিক ক্লান্তি বা উত্তেজনাও অনেকটাই দূর হবে।
মধু মধুতে থাকে ভিটামিন-B ও ভিটামিন-C, যা ত্বকের জন্য দারুন উপকারি। কয়েক ফোঁটা মধু লাগিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুলে ত্বক হয়ে ওঠে জেল্লাদার। ক্লান্তির ছাপও দূর হয়। ৫ মিনিটে ত্বকের হাল ফেরাতে মধু ও দই দিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে সতেজ।
লেমন-বেসড ফেসওয়াশ: বেশিরভাগ লেমন-বেসড ফেসওয়াশেই ত্বককে মসৃণ ও সতেজ করার মতো উপাদান থাকে। আর, লেবুর গন্ধ মনের ক্লান্তিও দূর করে। তাই, ত্বকে চটজলদি সতেজতা আনতে ব্যবহার করুন লেমন-বেসড ফেসওয়াশ, যা আপনার ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করবে।
অলিভ অয়েল: ম্যাসাজ করলে ত্বকে তার প্রভাব স্পষ্ট বোঝা যায়। অলিভ অয়েলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে, যা ত্বকের জন্য দারুণ উপকারি। এই তেল ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতেই সাহায্য করে। তাই, ত্বকের ক্লান্তি দূর করতে সামান্য অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন। চোখের নীচের অংশ, গাল এবং নাকের চারপাশের অংশে ভালো কের ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে, ত্বক দেখাবে সতেজ।
মাসকারা: ব্যবহার করতে পারেন মাসকারা। মাসকারা লাগালে চোখ স্বাভাবিকের তুলনায় বড় দেখতে লাগে। আর ক্লান্তির ছাপ কিছুটা হলেও দূর হয়। প্রথমে স্বচ্ছ কোনও লাইনার লাগান। এবার আইল্যাশে কোনও এসেনশিয়াল অয়েল লাগিয়ে নিয়ে অনেকটা মাসকারা লাগান। শুকিয়ে যাওয়ার পর আরও এক কোট মাসকারা লাগিয়ে নিন। মাসকারা লাগানো সুন্দর চোখের দিকেই সবার নজর যাবে, ত্বকের ক্লান্তি চোখ এড়াবে।
কফি স্ক্রাব: কফিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ড উপাদান থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ডের প্রভাবে ত্বক সতেজ হয় এবং রক্ত চলাচল বাড়ে। কফি দিয়ে স্ক্রাবিং করলে মৃত ত্বক দূর হয় ও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। বলিরেখা ও লালচেভাব কম হয়। ফলে আপনি পান জেল্লাদার ও কোমল ত্বক।